বায়েলজিক্যাল প্রসেস
বায়েলজিক্যাল প্রসেসের প্রথম ধাপ হল বায়োমাস ডিস্ট্রাকশন বা জীববস্তুপুঞ্জের ধংস। একটি এরোবিক ডাইজেশন সিসটেম এ বায়োমাস এর খাদ্য সরবারহ হ্রাস পায় । ফলে মাইক্রো অর্গানিজম গুলো তাদের নিজেদের প্রোটোপ্লাজম খেয়ে শক্তি অর্জন করে।
বায়োমাস এর ৫ মলিকুল অক্সিজেন দরকার হয় তাদের প্রোটোপ্লাজমকে অক্সিডাইজ করার জন্য। যখন প্রোটোপ্লাজম অক্সিডাইজ হয়, তখন কার্বনডাইঅক্সাইড, পানি ও এমোনিয়াম বাইকার্বোনেট কমে যায়। এই সময় এই সকল কিট, একে অপরকে খায়। আর এই সময় বায়োমাসের যে নাশ বা ধংস ঘটে, তখন সিসটেমে এমোনিয়া তৈরী হয়। আর এটা মাইক্রো অর্গানিজম গুলোর জন্য খুবই বিষাক্ত বা টকসিক। এই জন্য এগুলো দুর্গন্ধযুক্ত হয়।
এমোনিয়া কমানোর জন্য নাইট্রিফিকেশনের দরকার যা হল বায়েলজিক্যাল প্রসেসের ২য় ধাপ।
নাইট্রিফিকেশন হয় নাইট্রিফাইং ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা। এই নাইট্রিফাইং ব্যাক্টেরিয়া এমোনিয়াকে অক্সিডাইজ করে ২মলিকুল অক্সিজেনের সাথে মিশে নাইট্রেট এ পরিবর্তন করে এবং ২ মলিকুল পানি হ্রাস করে।
নাইট্রিফিকেশনে বায়োমাসের এই ধংস পর্বে, ৭ মলিকুল দরকার হয় পুরো প্রসেস শেষ করতে। আর বাই প্রোডাক্ট হিসাবে পাওয়া যায় ৫ মলিকুল কার্বোনডাইঅক্সাইড, ৩ মলিকুল পানি ও ১ মলিকুল নাইট্রিক এসিড।
ফল সরূপ নাইট্রিক এসিড বায়োমাসের জন্য খুবই বিষাক্ত হয়ে যায় কেননা ঐ সময় পি এইচ কমে গিয়ে বায়োমাস দূর্বল হয়ে পড়ে।
যদি এই প্রসেস থেকে নাইট্রিক এসিড দূর করতে হয়, তবে ডি-নাইট্রিফিকেশন প্রসেসের মাধ্যমে করতে হয়। ডি-নাইট্রিফিকেশন প্রসেস হল বায়োলজিক্যাল সিসটেম এর সর্বশেষ ধাপ।
একটি নিয়ন্ত্রিত এরোবিক ডাইজেশন প্রসেসে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে এটি কাজ করে। এখানে বায়োমাসকে জড় করে ৪ মলিকুল নাইট্রেটকে অক্সিডাইজ করে। যাতে করে এমনিয়া, এলকালাইনিটি ও নাইট্রোজেন গ্যাস হ্রাস পায়।
সম্পূর্ন বায়োলজিক্যাল প্রসেসের এই তিনটি ধাপ যোগ করলে দেখা যায় বায়ো মাস ৫.৭৫ মলিকুল অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে ৫ মলিকুল কার্বোনডাইঅক্সাইড, ৩ মলিকূল পানি ও ০.৫ মলিকূল নাইট্রোজেন গ্যাস কমিয়ে আনে।
এটা খবই দুঃস্কর যে, ডিনাইট্রিফিকেশনের সময় অক্সিজেন বের করে দেওয়া। তাই এই সময় পি-এইচ ও এলকালাইনিটি কমে গেলে নাইট্রক এসিড বায়ো-মাসকে মেরে ফেলে। তাই এই সময় এলকালাইনিটি বাডানো জরুরী যাতে নাইট্রিক এসিডকে নিউট্রিলাইজ করে এবং নাইট্রফিকেশন প্রসেসকে সচল রাখে।